ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি পশু

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি গবাদিপশু, যা জেলার চাহিদা—এক লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি—এর চেয়ে ৩২ হাজার ৪৫৮টি বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তুত থাকা পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭০ হাজার ৭১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভী, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৩৩টি কোরবানিযোগ্য পশু।
খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। গরু ও অন্যান্য পশুর পরিচর্যায় তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন—তীব্র গরম থেকে রক্ষা করতে ফ্যানের নিচে রাখা, নিয়মিত গোসল করানোসহ পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।
জেলার ৫৪২টি খামারে দেশি জাতের পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু যেমন ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, ব্রাহামা ও ইন্ডিয়ান বোল্ডার লালন-পালন করা হয়েছে। এসব পশু প্রাকৃতিক উপায়ে—ঘাস, খড়, কুটা, ভূষি ইত্যাদি দেশীয় খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ক্ষতিকর হরমোন বা ইনজেকশন ব্যবহার না করায় ক্রেতাদের আগ্রহও বেড়েছে।
স্থানীয় খামারি মো. ইসাসিন জানান, তার খামারে কোরবানির জন্য ২৩ টি গরু প্রস্তুত রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটি ৮-৯ মাস ধরে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করা হয়েছে। তবে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে।
অপর খামারি হিমেল মিয়া জানান, এবারের ঈদে দেশীয় গরু দিয়েই চাহিদা পূরণ সম্ভব। তার খামার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা গরু কিনে নিচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, জেলার ৬৩টি গরুর হাটে নিরাপদ ও সুস্থ পশু বিক্রির লক্ষ্যে ৪০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে থাকবে একটি করে মেডিকেল টিম, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা যেন সুস্থ ও মানসম্পন্ন পশু কিনতে পারেন, সেজন্যই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালক ইয়ার পিস্তল সহ আটক- ০২

কিশোরগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি পশু

আপডেট সময় ০৫:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি গবাদিপশু, যা জেলার চাহিদা—এক লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি—এর চেয়ে ৩২ হাজার ৪৫৮টি বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রস্তুত থাকা পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭০ হাজার ৭১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভী, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৩৩টি কোরবানিযোগ্য পশু।
খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। গরু ও অন্যান্য পশুর পরিচর্যায় তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন—তীব্র গরম থেকে রক্ষা করতে ফ্যানের নিচে রাখা, নিয়মিত গোসল করানোসহ পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে।
জেলার ৫৪২টি খামারে দেশি জাতের পাশাপাশি উন্নত জাতের গরু যেমন ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, ব্রাহামা ও ইন্ডিয়ান বোল্ডার লালন-পালন করা হয়েছে। এসব পশু প্রাকৃতিক উপায়ে—ঘাস, খড়, কুটা, ভূষি ইত্যাদি দেশীয় খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। ক্ষতিকর হরমোন বা ইনজেকশন ব্যবহার না করায় ক্রেতাদের আগ্রহও বেড়েছে।
স্থানীয় খামারি মো. ইসাসিন জানান, তার খামারে কোরবানির জন্য ২৩ টি গরু প্রস্তুত রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটি ৮-৯ মাস ধরে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করা হয়েছে। তবে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে।
অপর খামারি হিমেল মিয়া জানান, এবারের ঈদে দেশীয় গরু দিয়েই চাহিদা পূরণ সম্ভব। তার খামার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা গরু কিনে নিচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, জেলার ৬৩টি গরুর হাটে নিরাপদ ও সুস্থ পশু বিক্রির লক্ষ্যে ৪০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে থাকবে একটি করে মেডিকেল টিম, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। তিনি আরো বলেন, ক্রেতারা যেন সুস্থ ও মানসম্পন্ন পশু কিনতে পারেন, সেজন্যই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471