ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেট নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দানকৃত মাংস কিনছেন স্বল্প আয়ের মানুষ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

নগরীতে কোরবানির ঈদের দিন দুপুর গড়াতেই যেন জমে উঠেছে এক ব্যতিক্রমী বাজার। নাম নেই, ঠিকানা নেই, নেই কোনো নির্ধারিত স্টল বা দোকান—তবু শহরের অলিগলি, সড়কের মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পরিণত হয়েছে কোরবানির দানকৃত মাংস বিক্রির জমজমাট কেন্দ্রে।

জোহরের নামাজের পর থেকেই, আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহ, জালালাবাদ, সুবিদবাজারসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে পলিথিন কিংবা বস্তায় মোড়া মাংস বিক্রিতে নেমেছেন একদল মানুষ। ভাগাচুক্তিতে বিক্রি হচ্ছে কোরবানীর দানকৃত মাংস। আর এ সকল মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ।

প্রথা অনুযায়ী কোরবানির মাংস তিনভাগে ভাগ করতে হয়। তারপর কোরবানিদাতা নিজের জন্য একভাগ রেখে একভাগ দরিদ্র প্রতিবেশী ও স্বজনদের মধ্যে এবং বাকি মাংস গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই গরিব-মিসকিনদের জন্য দেয়া মাংসই আসে এরকম অস্থায়ী বাজারে।

আম্বরখানা পয়েন্টে এরকম মাংস বিক্রি করছিলেন বাবুল মিয়া। তিনি জানান, তার পরিবার ও স্বজনেরা মিলে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছেন। যেহেতু এত পরিমাণ মাংস সংরক্ষণও করার উপায় নেই, একসাথে খাওয়ায় যাবে না, তাই মাংস বিক্রি করতে বসেছেন তিনি।

কয়েকজন বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে এসব মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ যারা মাংসের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে পারেন না কিন্তু চান কোরবানির ঈদের দিন পরিবারের মুখে মাংস তুলে দিতে। তবে কিছু রেস্টুরেন্ট মালিকও সুলভে মাংসে কেনার এ সুযোগ নেন বলে জানান তারা।

জালালাবাদ পয়েন্টের সামনে কথা হয় একরামুল হকের সাথে। পেশায় একটি গ্যারেজের মেকানিক। তিনি বলেন, ‘কোরবানি দেয়ার তো আর সামর্থ নেই। তাই কোরবানির ঈদের দিন চেষ্টা করি কম দামে কিছু মাংস কিনতে। ঈদের দিন পরিবারকে নিয়ে একটু ভালোভাবে খাওয়ার একটা ব্যবস্থা।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

সীমান্তবর্তী স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় ও জনসচেতনতামূলক সভা পরিচালনা করেছে ৩৩ ব্যাটালিয়ন বিজিবি

সিলেট নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দানকৃত মাংস কিনছেন স্বল্প আয়ের মানুষ

আপডেট সময় ১০:৪৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

 

নগরীতে কোরবানির ঈদের দিন দুপুর গড়াতেই যেন জমে উঠেছে এক ব্যতিক্রমী বাজার। নাম নেই, ঠিকানা নেই, নেই কোনো নির্ধারিত স্টল বা দোকান—তবু শহরের অলিগলি, সড়কের মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পরিণত হয়েছে কোরবানির দানকৃত মাংস বিক্রির জমজমাট কেন্দ্রে।

জোহরের নামাজের পর থেকেই, আম্বরখানা, শাহী ঈদগাহ, জালালাবাদ, সুবিদবাজারসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে পলিথিন কিংবা বস্তায় মোড়া মাংস বিক্রিতে নেমেছেন একদল মানুষ। ভাগাচুক্তিতে বিক্রি হচ্ছে কোরবানীর দানকৃত মাংস। আর এ সকল মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ।

প্রথা অনুযায়ী কোরবানির মাংস তিনভাগে ভাগ করতে হয়। তারপর কোরবানিদাতা নিজের জন্য একভাগ রেখে একভাগ দরিদ্র প্রতিবেশী ও স্বজনদের মধ্যে এবং বাকি মাংস গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই গরিব-মিসকিনদের জন্য দেয়া মাংসই আসে এরকম অস্থায়ী বাজারে।

আম্বরখানা পয়েন্টে এরকম মাংস বিক্রি করছিলেন বাবুল মিয়া। তিনি জানান, তার পরিবার ও স্বজনেরা মিলে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছেন। যেহেতু এত পরিমাণ মাংস সংরক্ষণও করার উপায় নেই, একসাথে খাওয়ায় যাবে না, তাই মাংস বিক্রি করতে বসেছেন তিনি।

কয়েকজন বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় যে এসব মাংসের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের মানুষ যারা মাংসের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরতে পারেন না কিন্তু চান কোরবানির ঈদের দিন পরিবারের মুখে মাংস তুলে দিতে। তবে কিছু রেস্টুরেন্ট মালিকও সুলভে মাংসে কেনার এ সুযোগ নেন বলে জানান তারা।

জালালাবাদ পয়েন্টের সামনে কথা হয় একরামুল হকের সাথে। পেশায় একটি গ্যারেজের মেকানিক। তিনি বলেন, ‘কোরবানি দেয়ার তো আর সামর্থ নেই। তাই কোরবানির ঈদের দিন চেষ্টা করি কম দামে কিছু মাংস কিনতে। ঈদের দিন পরিবারকে নিয়ে একটু ভালোভাবে খাওয়ার একটা ব্যবস্থা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471