দেখতে দেশি জাতের মাগুর মাছ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এগুলো বিদেশি। এদের গায়ে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। নাসিরনগরের মাছের আড়তে প্রায়শই বিক্রি হচ্ছে এমন এক মাছ, যা খেলে জীবনই হয়ে উঠতে পারে হুমকির মুখে।
স্থানীয় আড়তে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে হলুদ রঙের মাগুর মাছ, যা আসলে এক ভয়াবহ প্রতারণার ফসল। মাছগুলোকে কৃত্রিমভাবে ‘তাজা’ হলুদ ও ‘আকর্ষণীয়’ দেখাতে মিশানো হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক—যা সাধারণ মানুষের অজান্তেই শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুর ছাপ!
প্রতিটি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। আর এই ভয়ানক কারসাজির নেপথ্যে রয়েছে পাশের সরাইল উপজেলার একদল অসাধু পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী। দিনের পর দিন তারা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই মরণ খেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছে ফর্মালিন বা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ মেশানো এই অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের কেউই যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন চিত্র চললেও নেই কোনো অভিযান, নেই কোনো সচেতনতা কর্মসূচি।
একজন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি কেউ দাঁড়ায় না, তবে একদিন গোটা সমাজটাই বিষে ভরে যাবে। প্রশাসনকে বলেও লাভ নেই—তারা শুধু ফাইল ঘাঁটে, মাঠে নামে না।”
পুষ্টির নামে বিষ খাচ্ছে মানুষ, আর অসাধু চক্রের পকেটে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ যেন নীরব গণহত্যারই আরেক নাম। এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই মরণ খেলায় প্রশাসনের ভূমিকাই বা কী?