শেরপুর পৌর শহরের বটতলায় অবস্থিত, শেরপুর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চাঞ্চল্যকরভাবে চুরি হয়ে গেছে মাত্র ৩ দিন বয়সী একটি নবজাতক মেয়ে। এই ঘটনায় পৌর শহরজুড়ে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। নবজাতকটির পরিবার জানিয়েছে, শেরপুর সদর উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাতলি মহল্লার বাসিন্দা ফিরোজের মেয়ে শিশুটি হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকেই নিখোঁজ হয়।
ভূক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার গোশত ব্যবসায়ী মো: ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী কে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য ২৬ জুন বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং যথারীতি ওই রাতেই ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন৷ তখন থেকেই ফিরোজের মা সহ তার দুজন আত্মীয় তাদের সাথে অবস্থান করছিলো। ঘটনাক্রমে একজন অজ্ঞাত মহিলা তাদের সাথে সখ্যতা তৈরী করে। সে বলে তার এক আত্মীয় এই হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং গত শুক্রবার থেকে তাদের রুমে নানা উসিলায় অবস্থান করতে থাকে।
পরিবারের অভিযোগ, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত। একজন অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে এক নারীকে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাইকারী মহিলাকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
নবজাতকের পিতা বলেন, “আমরা নিশ্চিত যে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে চুরি করা হয়েছে। আমি চাই, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
ঘটনার পর ওই কক্ষের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট ছিলো বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন এ ঘটনার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজস রয়েছে। পরে বাইরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় বোরখা পরিহিত ওই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল ইসলাম দিদার জানান, অজ্ঞাতনামা মহিলাটি তাদের রুমে অবস্থান করছে এরকম কোন অভিযোগ তারা আমাদের কাছে করেননি। তবে এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এঘটনায় শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জুবায়দুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।