জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কুরুচিকর মন্তব্য ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শেরপুর জেলা কৃষক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন রঞ্জু। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান তারা, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, সাইফুল ইসলাম, আবু রায়হান রুপন, এবং কামরুল হাসান। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন,
“তারেক রহমানকে নিয়ে যে নোংরা মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে, তা স্বাধীন মতপ্রকাশের উপর নগ্ন হামলার শামিল। দেশের জনগণ সব বুঝে গেছে— এই ষড়যন্ত্র বেশিদিন টিকবে না। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে পরিক্ষিত, বিএনপি কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই।
প্রধান বক্তা অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন,
“তারেক রহমানই বাংলার ভবিষ্যৎ, আর এই সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলার মানুষ জেগে উঠেছে, এবার এদের পতন অনিবার্য!”
“রাজপথেই হবে ফয়সালা”
জেলা কৃষক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন বলেন,
“দেশে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই— তারেক রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে কৃষক সমাজই প্রথম মাঠে নেমে লড়াই করবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হবে।”
সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন রঞ্জু
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,”আমরা আজকে শেরপুরের রাজপথে স্পষ্টভাবে বলতে চাই—জনাব তারেক রহমান দেশপ্রেমের প্রতীক, গণতন্ত্রের অগ্রদূত। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও চরিত্রহননের এই নোংরা খেলা জনগণ আর সহ্য করবে না। যদি অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধ না করা হয়, তাহলে কৃষক সমাজ রাজপথ অচল করে দেবে।”
এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।