গত ২৭ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মান কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের ৩ নং ইটের খোঁয়া ,মরিচা ধরা রড,দেশীয় বালি ও নিম্নমানের সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো পুরো প্রকল্প এলাকায় কোনো প্রকৌশলী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।দেখা যায়, ব্যাজ ঢালাইয়ের জন্য মরিচাধরা রড বাধাঁ হচ্ছে। নেই কোন প্রকল্প সাইনবোর্ড।
শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা প্রকল্প সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত ইন্জিনিয়ার হারেচ নামে একটা ব্যক্তি ষ্টিমেট,সিডিউল ও প্রকল্প সাইনবোর্ড ছাড়াই যেনতেন ভাবে এ ভবনের নির্মান কাজ করে আসছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
এ সময় তারা আরও বলেন, “জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট একটি প্রকল্পে এ ধরনের অনিয়ম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, খাদ্য গুদাম নির্মাণে সরকারের অর্থের অপচয় রোধে এবং ভবিষ্যতে ভবনের স্থায়িত্ব নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে “আঞ্চলিক খাদ্য রক্ষনাবেক্ষন প্রকৌশলী এ ধরনের নতুন ভবন নির্মানের তত্বাবধান করেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান। অন্যদিকে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য রক্ষনাবেক্ষন প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) নিয়োজিত মোঃ আরশাদ আইয়ুব আলী মন্ডল বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার মেলেনি।