ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে কয়রার মানুষ

 

কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামের খালের উপর নির্মিত ওড়াতলা নামক স্থানের সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্য রয়েছে দুপাড়ের মানুষ। প্রতিদিন চরম ঝুঁকির মধ্য পারাপার হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা খালের ওপর ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তরা ওঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারও মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় পুরা সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ২নং কয়রা গ্রামের শিক্ষক মাওলনা ওয়াজেদ আলী বলেন, সেতু দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দির্ঘদিনের দাবী পূর্বের স্থলে একটি ব্রিজ নির্মানের। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২নং কয়রা ও ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণতে রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই। জনমনে আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম লুৎফর রহমান বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ ও ২ নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পার্শবর্তী ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুকিপূর্ণসেতু দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। কয়রার এলজিআরডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, ঝুকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। সেতুটি পুর্ন নির্মান করার জন্য উধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি পুর্ন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

দুর্নীতির সাথে জড়িতের তথ্য পেলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে- দুদক পরিচালক

ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে কয়রার মানুষ

আপডেট সময় ০৬:৪২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা গ্রামের খালের উপর নির্মিত ওড়াতলা নামক স্থানের সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্য রয়েছে দুপাড়ের মানুষ। প্রতিদিন চরম ঝুঁকির মধ্য পারাপার হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা খালের ওপর ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশির ভাগ পিলারের পলেস্তরা ওঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে দিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারও মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় পুরা সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ২নং কয়রা গ্রামের শিক্ষক মাওলনা ওয়াজেদ আলী বলেন, সেতু দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্বক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দির্ঘদিনের দাবী পূর্বের স্থলে একটি ব্রিজ নির্মানের। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২নং কয়রা ও ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণতে রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই। জনমনে আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম লুৎফর রহমান বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ ও ২ নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পার্শবর্তী ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুকিপূর্ণসেতু দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ। কয়রার এলজিআরডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, ঝুকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। সেতুটি পুর্ন নির্মান করার জন্য উধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি পুর্ন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471