রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
সম্পত্তি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বিষাক্ত গোখরা সাপের কামড়ে আহত হয়ে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন- পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের মৃত হাতেম মণ্ডলের ছেলে আজিজ মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের নাদুরিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৫৫) এবং যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের তারেক শেখের ছেলে আসিফ শেখ (১৯)। ভর্তি রোগীরা সবাই পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে পানিতে পাট জাগ দিতে যান আজিজ মণ্ডল। ওই সময় পাটের মধ্যে লুকিয়ে থাকা একটি গোখরা সাপের বাচ্চা তার হাতের আঙুলে কামড় দেয়। পরে তিনি সাপটিকে কাঁচি দিয়ে মেরে ফেলেন। পরে পরিবারের লোকজন সাপটিসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
একইদিন সকালে ভাত রান্না করার সময় হাসিনা খাতুনের পায়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা কামড় দেয়। পরে পরিবারের লোকজন এসে সাপটিকে মেরে ফেলে। পরবর্তীতে সাপটিসহ হাসিনা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনরা।
সাপের কামড়ে আহত আসিফ জানান, গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে চর দুর্লভদিয়া ব্রিজে অবস্থান করার সময় তার পায়ে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা কামড় দেয়। এসময় সাপটিকে মেরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সাপের কামড়ে আহত হয়ে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা বিষাক্ত গোখরা সাপ সঙ্গে করে নিয়ে এনেছেন। যা দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে, বিষাক্ত সাপে দংশনের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাই অ্যান্টি-স্নেক ভেনম প্রয়োগ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে (৪০ ভায়াল) অ্যান্টি-স্নেক ভেনম মজুদ রয়েছে। রোগীদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তাদের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ভেনম প্রয়োগ করা হবে।’
স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে ডা. মো. এবাদত হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে সাপের উপদ্রব বাড়ে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা এবং সাপে দংশন করলে দ্রুত হাসপাতালে আসা জরুরি। ঝাড়ফুঁক বা কবিরাজি আশ্রয় না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই সঠিক পদক্ষেপ। এ মৌসুমে সকলকে সচেতনতার সঙ্গে চলাচলের জন্য অনুরোধ করছি।’