ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় আগ্রাসন দমাতে এবার গঠন হচ্ছে ত্রিমুখী জোট

  • আহসান হাবীব
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

আগ্রাসন দমাতে এবার গঠন হচ্ছে ত্রিমুখী জোট
আহসান হাবীব

পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে একটি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা ভিত্তিক ত্রিমুখী জোট গঠন করা হলে এটি অঞ্চলে ভারতের হস্তক্ষেপবাদী ও মার্কিনপন্থী নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

ভারতে বাজছে সতর্কতার ঘণ্টা, এবং ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব পাকিস্তানের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ। ইসলামাবাদকে অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

যেহেতু ভারত এখন আমেরিকার আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষার অনানুষ্ঠানিক অভিভাবকে পরিণত হয়েছে এবং পাকিস্তান ও চীনের জন্য সমস্যা তৈরি করছে, তাই ভারতকে আঞ্চলিকভাবে তার প্রকৃত অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য আরও বেশি কৌশল প্রয়োজন।

কয়েক সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক চালান গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর দেশটির জনগণ পাকিস্তানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো, শুধু জনগণ নয়, বরং বাংলাদেশ সরকারও পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নিয়েছে।

পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে একটি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা ভিত্তিক ত্রিমুখী জোট গঠন করা হলে এটি অঞ্চলে ভারতের হস্তক্ষেপবাদী ও মার্কিনপন্থী নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

ভারতীয় আগ্রাসনের ক্ষেত্রে, সিলিগুড়ি করিডোর, যা চিকেন’স নেক নামেও পরিচিত, বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। এটি হলে ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ফারুক হাসানের উদ্যোগে শতাধিক টিউবওয়েল বিতরণ

ভারতীয় আগ্রাসন দমাতে এবার গঠন হচ্ছে ত্রিমুখী জোট

আপডেট সময় ১১:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

আগ্রাসন দমাতে এবার গঠন হচ্ছে ত্রিমুখী জোট
আহসান হাবীব

পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে একটি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা ভিত্তিক ত্রিমুখী জোট গঠন করা হলে এটি অঞ্চলে ভারতের হস্তক্ষেপবাদী ও মার্কিনপন্থী নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

ভারতে বাজছে সতর্কতার ঘণ্টা, এবং ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব পাকিস্তানের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ। ইসলামাবাদকে অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

যেহেতু ভারত এখন আমেরিকার আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষার অনানুষ্ঠানিক অভিভাবকে পরিণত হয়েছে এবং পাকিস্তান ও চীনের জন্য সমস্যা তৈরি করছে, তাই ভারতকে আঞ্চলিকভাবে তার প্রকৃত অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য আরও বেশি কৌশল প্রয়োজন।

কয়েক সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক চালান গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর দেশটির জনগণ পাকিস্তানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো, শুধু জনগণ নয়, বরং বাংলাদেশ সরকারও পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নিয়েছে।

পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশকে নিয়ে একটি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা ভিত্তিক ত্রিমুখী জোট গঠন করা হলে এটি অঞ্চলে ভারতের হস্তক্ষেপবাদী ও মার্কিনপন্থী নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

ভারতীয় আগ্রাসনের ক্ষেত্রে, সিলিগুড়ি করিডোর, যা চিকেন’স নেক নামেও পরিচিত, বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। এটি হলে ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।