ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেংগুড়া ব্রীজে ঝুঁকির মধ্যে হাজারো মানুষের যাতায়াত: প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষোভ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

মো: বিলাল উদ্দিন,গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি:
গোয়াইনঘাট উপজেলার লেংগুড়া মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত একমাত্র ব্রীজটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই ব্রীজ দিয়েই লেংগুড়া গ্রামের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ব্রীজটির সংস্কার কাজ শুরু হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রীজটির মূল কাঠামো ভেঙে পড়ে থাকায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ব্রীজটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ, বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসাগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার হন।
গ্রামবাসী জানান, বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্রীজটি পরিদর্শন করেছেন এবং নিজেরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন—এত দুর্বল কাঠামোর উপর দিয়ে মানুষ কীভাবে যাতায়াত করছে! কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের কোনো সতর্কতা বোর্ড এখনো পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি, যা প্রশাসনের উদাসীনতাকেই প্রকাশ করে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“প্রতিদিন সন্তানদের বুক ধড়ফড় করে স্কুলে পাঠাই। ব্রীজ পার হওয়ার সময় মনে হয় না জানি কখন ভেঙে পড়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
স্থানীয়দের দাবি, এই ব্রীজটি সংস্কারের আগে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না। এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী কংক্রিট ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এলাকার মানুষের আশঙ্কা—“কোনো স্কুল বা মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর পরই যদি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে তা হবে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।”

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মাহফুজ আলম পদত্যাগ করলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন : মাহবুব আলম

লেংগুড়া ব্রীজে ঝুঁকির মধ্যে হাজারো মানুষের যাতায়াত: প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৭:০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

মো: বিলাল উদ্দিন,গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি:
গোয়াইনঘাট উপজেলার লেংগুড়া মাদ্রাসার পাশে অবস্থিত একমাত্র ব্রীজটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই ব্রীজ দিয়েই লেংগুড়া গ্রামের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ব্রীজটির সংস্কার কাজ শুরু হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রীজটির মূল কাঠামো ভেঙে পড়ে থাকায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ব্রীজটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ, বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসাগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার হন।
গ্রামবাসী জানান, বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্রীজটি পরিদর্শন করেছেন এবং নিজেরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন—এত দুর্বল কাঠামোর উপর দিয়ে মানুষ কীভাবে যাতায়াত করছে! কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের কোনো সতর্কতা বোর্ড এখনো পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি, যা প্রশাসনের উদাসীনতাকেই প্রকাশ করে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“প্রতিদিন সন্তানদের বুক ধড়ফড় করে স্কুলে পাঠাই। ব্রীজ পার হওয়ার সময় মনে হয় না জানি কখন ভেঙে পড়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
স্থানীয়দের দাবি, এই ব্রীজটি সংস্কারের আগে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসন এড়াতে পারবে না। এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী কংক্রিট ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এলাকার মানুষের আশঙ্কা—“কোনো স্কুল বা মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী প্রাণ হারানোর পরই যদি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে তা হবে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।”


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471