ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডরের বাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শতাধিক মানুষের পারাপার

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের ডরের বাড়ি এলাকায় একটি খালের ওপর বাঁশের তৈরি একটি সাঁকোই শতাধিক মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা চললেও স্থায়ী সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে করে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস হাওলাদার জানান, “এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পারাপার করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাঁকোটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। একটু অসতর্ক হলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী সেতু নির্মাণের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তারা অনিরাপদ ও দুর্ভোগপূর্ণ যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, শুধু শিক্ষা কিংবা বাজারে যাওয়াই নয়—জরুরি রোগী পরিবহনেও চরম বিপাকে পড়তে হয়। দ্রুত একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানানো হয়, বিষয়টি তাদের জানা রয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন এক কর্মকর্তা।

এদিকে, অনতিবিলম্বে সাঁকোর স্থানে একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

রথযাত্রা উপলক্ষে ডিএমপিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

ডরের বাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শতাধিক মানুষের পারাপার

আপডেট সময় ০৮:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের ডরের বাড়ি এলাকায় একটি খালের ওপর বাঁশের তৈরি একটি সাঁকোই শতাধিক মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা চললেও স্থায়ী সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে করে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস হাওলাদার জানান, “এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পারাপার করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাঁকোটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। একটু অসতর্ক হলেই ঘটছে দুর্ঘটনা।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী সেতু নির্মাণের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তারা অনিরাপদ ও দুর্ভোগপূর্ণ যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, শুধু শিক্ষা কিংবা বাজারে যাওয়াই নয়—জরুরি রোগী পরিবহনেও চরম বিপাকে পড়তে হয়। দ্রুত একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানানো হয়, বিষয়টি তাদের জানা রয়েছে এবং বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন এক কর্মকর্তা।

এদিকে, অনতিবিলম্বে সাঁকোর স্থানে একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।