ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘটক পরিচয়ে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে নগদ অর্থ আত্মসাৎ চক্রের মূল হোতা গ্ৰেফতার।

ভিকটিম নয়ন হোসেন অভয়নগর থানা দিন বারান্দি পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা, সে একটি সারের দোকানে চাকরি করে। কয়েকদিন ধরেই তার ভাগ্নির বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।

হঠাৎ তার মোবাইলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একজন ঘটক বলে পরিচয় দেয়।

তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সেই ব্যক্তি দুটি মোবাইল নাম্বার দেয় এবং কল দিতে বলে, এর কিছুক্ষণ পরেই উক্ত নম্বর দুটি থেকে ফোন আসে এবং ঘটক পরিচয় দিয়ে বলে আপনাকে পাত্রের বাবা পাত্রী দেখতে আসার সময় জানিয়ে দিবে।

একই দিন বিকালে ভিকটিমের নাম্বারে সেই নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং নিজেকে পাত্রের বাবা পরিচয় দেয়। সে বলে আগামী শুক্রবার তারা পাত্রী দেখতে আসবে।

পরবর্তীতে একই তারিখ রাত অনুমান সাড়ে আটটার দিকে পাত্রের বাবা সেই নাম্বার থেকে ফোন করে জানায় তার ছেলে ঝিকরগাছায় প্রাইভেটকারে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে।

সে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলে এটি তার ছেলের নাম্বার এবং ভিকটিম যেন দ্রুত যোগাযোগ করে।

পরবর্তীতে ভিকটিম তার দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করলে পাত্র জানায় সে ঝিকরগাছা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে এবং গাড়ির ড্রাইভারের অবস্থা আশঙ্কাজন, তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা লাগবে যেটা ভিকটিমকে বিকাশের মাধ্যমে দিতে বলে এবং টাকাটা ড্রাইভারের চিকিৎসা ব্যবস্থা করে পরে ফেরত দিবে বলে জানায়।

ভিকটিম তার কথায় বিশ্বাস করে দ্রুত তার দেওয়া নাম্বারে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়।

কিন্তু পরবর্তীতে সে পুনরায় ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে বললে ভিকটিমের মনে কিছুটা সন্দেহ হয় এবং সে তাদের দেওয়া নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পায়। তখন ভিকটিম বুঝতে পারে সে কোন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড় পড়েছে।

ভিকটিমের এজাহারের প্রেক্ষিতে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেন এবং রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) যশোর এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কে নির্দেশনা দেন।

পরবর্তীতে ডিবির অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/শেখ আবু হাসান, এএসআই(নিঃ)/ সৈয়দ শাহীন ফরহাদ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেলের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে আজ০৮/০৭/২০২৫খ্রিঃ বেলা ১৩.০৫ ঘটিকায় খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন পয়গ্রাম এলাকা হতে আসামী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত(২০)’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনা কথা স্বীকার করে।

এসংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
সর্বাধিক পঠিত

মোল্লাহাটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মোল্লাহাট সদর ইউনিট কমিটি শাখা দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘটক পরিচয়ে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে নগদ অর্থ আত্মসাৎ চক্রের মূল হোতা গ্ৰেফতার।

আপডেট সময় ০১:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

ভিকটিম নয়ন হোসেন অভয়নগর থানা দিন বারান্দি পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা, সে একটি সারের দোকানে চাকরি করে। কয়েকদিন ধরেই তার ভাগ্নির বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।

হঠাৎ তার মোবাইলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে একজন ঘটক বলে পরিচয় দেয়।

তাদের মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সেই ব্যক্তি দুটি মোবাইল নাম্বার দেয় এবং কল দিতে বলে, এর কিছুক্ষণ পরেই উক্ত নম্বর দুটি থেকে ফোন আসে এবং ঘটক পরিচয় দিয়ে বলে আপনাকে পাত্রের বাবা পাত্রী দেখতে আসার সময় জানিয়ে দিবে।

একই দিন বিকালে ভিকটিমের নাম্বারে সেই নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং নিজেকে পাত্রের বাবা পরিচয় দেয়। সে বলে আগামী শুক্রবার তারা পাত্রী দেখতে আসবে।

পরবর্তীতে একই তারিখ রাত অনুমান সাড়ে আটটার দিকে পাত্রের বাবা সেই নাম্বার থেকে ফোন করে জানায় তার ছেলে ঝিকরগাছায় প্রাইভেটকারে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে।

সে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলে এটি তার ছেলের নাম্বার এবং ভিকটিম যেন দ্রুত যোগাযোগ করে।

পরবর্তীতে ভিকটিম তার দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করলে পাত্র জানায় সে ঝিকরগাছা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে এবং গাড়ির ড্রাইভারের অবস্থা আশঙ্কাজন, তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা লাগবে যেটা ভিকটিমকে বিকাশের মাধ্যমে দিতে বলে এবং টাকাটা ড্রাইভারের চিকিৎসা ব্যবস্থা করে পরে ফেরত দিবে বলে জানায়।

ভিকটিম তার কথায় বিশ্বাস করে দ্রুত তার দেওয়া নাম্বারে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়।

কিন্তু পরবর্তীতে সে পুনরায় ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে বললে ভিকটিমের মনে কিছুটা সন্দেহ হয় এবং সে তাদের দেওয়া নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পায়। তখন ভিকটিম বুঝতে পারে সে কোন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড় পড়েছে।

ভিকটিমের এজাহারের প্রেক্ষিতে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেন এবং রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) যশোর এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কে নির্দেশনা দেন।

পরবর্তীতে ডিবির অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/শেখ আবু হাসান, এএসআই(নিঃ)/ সৈয়দ শাহীন ফরহাদ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেলের সমন্বয়ে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে আজ০৮/০৭/২০২৫খ্রিঃ বেলা ১৩.০৫ ঘটিকায় খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন পয়গ্রাম এলাকা হতে আসামী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত(২০)’কে গ্রেফতার করে। এসময় তার হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনা কথা স্বীকার করে।

এসংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/krishanmajhee/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471