পাবনা প্রতিনিধিঃ
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল বলেন, যারা চাঁদার জন্য প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করে, তাদের নেতৃত্বে দেশ নিরাপদ না। যারা প্রকাশ্যে চাঁদার জন্য মানুষ হত্যা করে তারা ভোটের জন্য কি করতে পারে জনগণের কাছেই প্রশ্ন পাবনাবাসীর কাছেই রেখে গেলাম।
আজ ১২ জুলাই শনিবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদ পাবনা জেলার আয়োজনে রাজধানীর মিটফোর্ডে যুবদল নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী অব্যহত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ চত্ত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শাকিল উজ্জামান আরো বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে যুবদল নেতাকর্মীরা পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতকদের নিহতের নিথর দেহের উপর নৃত্য এবং আনন্দোৎসব আদিম বর্বরতাকেও হার মানায়, যা সভ্য সমাজে কল্পনাতীত এবং সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
নিহত সোহাগের ছোট সন্তানটি আজ পিতা হারা হলো। এটা আওয়ামলীগে কর্মকান্ড মনে করিয়ে দেয়। যাদের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ না তাদের কাছে নেতৃত্ব নিরাপদ না। আমি জনগণকে বলবো
যারা এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছেন তাদেরকে ধিক্কার জানাই।
চাঁদার ভাগ নিতে পারলে হত্যা কান্ডের দায় কেন দিবে না।
শাকিল বলেন, এই হত্যাকান্ড একজন ব্যক্তির উপর হত্যাকান্ড নয়, এটি মানবতা, আইন, ন্যায়বিচার এবং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার উপর সরাসরি আঘাত। জনসমক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে একজন মানুষকে হত্যা করা কেবল নৃশংসতাই নয়, এটি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে তুলেছে যে, দেশের নাগরিক নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। অনতিবিলম্বে এই হত্যার বিচার করতে হবে।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ পাবনা জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ নবীর উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান জনি, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এ্যাড. গোলাম সরওয়ার খান জুয়েল, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আয়নুল হক, পাবনা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সদস্য সচীব মাযহারুল ইসলাম প্রমুখ।