রংপুরের জেলার তারাগঞ্জ থানায় একটি হিমাগারে নৈশপ্রহরী ও কর্মচারীদের বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এনএন হিমাগারে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হিমাগার সুত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর কৌশলে নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। পরে অফিসকক্ষে ঢুকে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক লুট করে নিয়ে যায় তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসকক্ষের সব ড্রয়ার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। মেঝেতে পড়ে আছে ভাঙা সিন্দুক। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপও দেখা যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিক দিয়ে ভেতরে ঢুকে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। আমি তাদের দিকে তাকানোয় তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রহরী সোহেল রানাকেও বেঁধে ফেলে।
এরপর, তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। এরপর মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিসে নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে তারা সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি ও সিসিটিভির মেশিন নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের মুখ মাঙ্কি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।
এ বিষয়ে এনএন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোনে জানানো হয়, ডাকাতি হয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে যাই। পরে ওসি সাহেবও এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ভোরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।