রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ঘুষ না দেওয়ায় বেতন ও অবসর ভাতার ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নার্স আতোয়ারা খাতুন অভিযোগ করেন, দীর্ঘ আট মাস ধরে হয়রানির শিকার হয়ে তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর আতোয়ারা খাতুন এলপিআরের জন্য আবেদন করেন। ফাইলটি ১৭ নভেম্বর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হলেও এখনো তা নিষ্পত্তি হয়নি। এ অবস্থায় তিনি বেতন ও অবসর ভাতা থেকে বঞ্চিত।
আতোয়ারা খাতুনের স্বামী জামায়াত কর্মী কাদের মোল্লা অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে গেলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা উত্তেজিত হয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
স্থানীয় জামায়াত নেতারা দাবি করেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি। তবে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি। কোনো অনিয়ম করিনি।”
রৌমারী উপজেলা জামায়াত আমির হায়দার আলী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে সামান্য বাগবিতণ্ডা হলেও আমি উপস্থিত থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দিই।”
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন তবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।
নিজস্ব সংবাদ : 

























